চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ সাত বছর বয়সী শিশু আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পিবিআই।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে আরটিভি নিউজকে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান। পুলিশ জানায়, নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
২৪ নভেম্বর রাতে সিপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতে হত্যার কারণ ও লাশ ছয় টুকরো করে সাগরপারে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক।
ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন আবির আলী৷ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, আবির আলী নামে সাবেক ভাড়াটিয়া মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর আবির আলী সবকিছু স্বীকার করে নেয়।
তিনি বলেন, মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে আবির আলীর বাসা থেকে। এখন আমরা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে সাগরপাড়ে আছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।